Logo

রাজনীতি    >>   শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনার কঠিন পরীক্ষা

শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনার কঠিন পরীক্ষা

শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনার কঠিন পরীক্ষা

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বারবার দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এবং দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি তার বাবার হত্যার জন্য দায়ী। এবার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন বিতর্ক উসকে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কিবরিয়া হত্যা মামলা নিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন শফিকুল আলম। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলা ছিল শেখ হাসিনার জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা। তিনি আরও বলেন, রেজা কিবরিয়া ও তার প্রয়াত মা আসমা কিবরিয়ার ক্রমাগত আপত্তির কারণেই তিনবার চার্জশিট পরিবর্তন করতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে।

শফিকুল আলম বলেন, “প্রায় দুই দশক ধরে রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দিকে আঙুল তুলছেন। কিন্তু কেউ আশা করেনি যে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কর্মীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। আমরা জানি কীভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া কারসাজি করা হয়েছে। কিন্তু কিবরিয়া তো ছিলেন শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী। তাহলে কেন এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচার হয়নি?”

শফিকুল আলম আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা সবসময় পারিবারিক বিষয়কেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তার প্রতিদিনের বক্তব্যেও এটি প্রতিফলিত হয়। তিনি বলেন, “প্রায় ১৫ বছর ধরে তার বক্তৃতার প্রথম কয়েকটি অনুচ্ছেদে তিনি পরিবারের হত্যাকাণ্ডের কথা বলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি, কিন্তু একজন রাষ্ট্রনায়কের কি প্রতিদিন এটি নিয়ে কথা বলা উচিত?”

তিনি আরও বলেন, “আমি কখনো সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীকে রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলতে শুনিনি। শ্রীলঙ্কার রাজা বিরেন্দ্রর পরিবারও কখনো তাদের পরিবারে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিয়মিত কথা বলেনি। অথচ শেখ হাসিনা প্রতিদিনই তার পরিবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন।”

শফিকুল আলম তার পোস্টে আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা মানসিকভাবে শাসন করার জন্য উপযুক্ত নন। তিনি বলেন, “একজন শীর্ষ কূটনীতিক আমাকে বলেছিলেন, হাসিনা একজন ক্লাসিক পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) রোগী। এ কারণে, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতায় আসার আগে মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া উচিত।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তদন্তে ধীরগতি দেখায়, যা পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পুনরায় তদন্ত করে। তবে কিবরিয়ার পরিবার বরাবরই এই মামলার তদন্ত ও বিচার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে।

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সামনে আসায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিবরিয়া হত্যা মামলার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কিবরিয়ার পরিবারের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই চার্জশিট একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert